আড়ালে থাকা শামীম এখন সামাজিক মাধ্যমে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু ও জনপ্রিয়তার শীর্ষে !
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন শামীম হসেন । শিক্ষার্থীদের মধ্যেও তাকে ঘিরে ইতোমধ্যে ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি হয়েছে ক্যাম্পাসজুড়ে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায় এবং তাদের পক্ষে কথা বলার লক্ষ্য নিয়ে তিনি এই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।
তার মেধা, চিন্তাশক্তির জন্য শামীম হোসেনকে সবচেয়ে যোগ্য মনে করছেন শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ । সুচিন্তা ও মেধা থাকলে মানুষের মন জয় করা সম্ভব, নতুন দৃষ্টিভঙ্গি আনা সম্ভব ট্যালেন্ট কাকে বলে, নেতাদের কেমন বাচনভঙ্গি হওয়া উচিত, কথা দিয়ে মানুষের মন কিভাবে জয় করা যায়, পজিটিভ ও ভালো চিন্তাধারা দিয়ে কিভাবে সমাজকে বদলানো যায়। সবার প্রিয় মুখ হয়ে ওঠা এই শামীম হোসেন মানুষের মনে এক নতুন আসার সঞ্চার করেছে ।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনের কারণ ব্যাখ্যা করে শামীম হোসেন বলেন, নির্দলীয় ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ভোট প্রদানের মাধ্যমে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচনের জন্য শিক্ষার্থীরা মুখিয়ে আছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপদ মঞ্চে কাজ করার সুবাদে শিক্ষার্থীদের নিয়ে আমার কাজ করার একটি দীর্ঘ অভিজ্ঞতা রয়েছে। তাই শিক্ষার্থীদের পালসকে প্রাধান্য দিয়ে আমি আসন্ন ডাকসু নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
নির্বাচনী প্রচারণায় তিনি আরও বলেন,, আমাদের শিক্ষার্থী প্রতিনিধি দরকার। যিনি ছাত্রদের জন্য কথা বলবেন, শিক্ষার্থী ভয়েস হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে কাজ করবেন। এখন আমি যদি কোনো প্যানেল থেকে প্রতিনিধিত্ব করি, তখন বিষয়টি এমন দেখাবে যে, আমি তো তাদেরই নেতা এবং অমুক ব্যক্তির আদর্শ প্রচার করি। আমার তো এমন কোনো আদর্শ নেই। আমার আদর্শ একটাই, যখন আমার কোনো ছোট ভাই-বোনেরা কোনো অসুবিধার সম্মুখীন হবে, তখন তাদের সেই ভয়েসটা রেইজ করার জায়গা তৈরি করে দেব এবং সেই ভয়েসটি হব আমি। আমি ভিপি হলে সবাই ভিপি হবে।
এছাড়া তিনি নিজের ইংরেজি প্ল্যাটফর্ম “Shameem Insight”-এর জন্য পরিচিত। গত কয়েক বছরে তিনি প্রায় ১৪ হাজার শিক্ষার্থীকে ইংরেজি পড়িয়েছেন। আগে সাইফুরস কোচিং সেন্টারের কোর্স সমন্বয়ক ছিলেন। বর্তমানে উচ্চতর ইংরেজি লেখার কোর্স পরিচালনা করছেন, যেখানে অনেক শিক্ষার্থী বিদেশে উচ্চশিক্ষা নিচ্ছে। তিনি আরও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন—ভিপি নির্বাচিত হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য এক বছর বিনামূল্যে ইংরেজি শেখার সুযোগও করে দেবেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই তার জন্য দোয়া ও সমর্থন চেয়েছেন, যাতে তিনি নির্বাচনে জয়লাভ করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিত্ব করতে পারেন।